হাদিসের একটি সনদ জাল হলে মতনটি (মূল বিষয়) জাল হওয়া অপরিহার্য নয়
বর্তমান বাতিলপন্থি বিশেষকরে আহলে হাদিসদের দেখা যায় যে কোন বিষয়ে হাদিসের একটি সনদ জাল হলে হাদিসটির মতন তথা বিষয় বস্তুকেও জাল বলতে ধিদ্বাবােধ করেন না। তাই এটা যে কত বড় ধোকা এবং তারা যে হাদিস পন্ডিতের নামে সাধারন মুসলমানদেরকে ধোকা দিচ্ছে তার কিছু নমুনা মুহাদ্দিসদের ভাষ্য দ্বারা দিতে চাই। ইমাম যাহাবী  رضي الله عنه   একটি মিথ্যাবাদি রাবির জীবনী আলােচনা করতে
গিয়ে লেখেন,
“রাবি ইবরাহিম বিন মূসা” ইমাম মালেক  رضي الله عنه   থেকে তিনি তাবেয়ী নাফে  رضي الله عنه   থেকে তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর  رضي الله عنه   থেকে বর্ননা করেন রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ইলম অর্জন করা ফরজ। ইমাম আহমদ   رضي الله عنه  বলেন, মূসা মিথ্যাবাদী। ইমাম যাহাবি   رضي الله عنه  বলেন,ইমাম আহমদ   رضي الله عنه 'র উক্ত বক্তব্যেও সমার্থ হলাে সনদের ব্যাপারে তবে মতনের বিষয় বস্তুর ব্যাপারে নয় কেননা এই হাদিসটির অনেক দুর্বল সনদ রয়েছে। ইমাম ইবনুল বার তার বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ আত-তামহীদ’ কিতাবে একটি হাদিস বর্ননা করেছেন- -“মেসওয়াক করে নামাজ মেসওয়াক ছাড়া হতে ৭০ গুন উত্তম।” এই সনদটি সম্পকে ইমাম ইবনে মুঈন  رضي الله عنه বলেন,  এই হাদিসের এই সনদটি বাতিল। তার এই বক্তব্যের পর ইমাম সাখাভী رضي الله عنه বলেন, তা বক্তব্যটি সনদের ব্যাপারে, কেননা এই হাদিসটি মিথ্যাবাদী রাবী রয়েছেন কিন্তু হাদিসটির অনেক সনদ বর্নিত আছে। একটি হাদিসে রয়েছে,
 জনৈক এক ব্যক্তি রাসূল ﷺ কে বললেন আমার বিবি যাকে পায় তাকেই স্পৰ্ষ করে, তার উত্তরে দয়াল নবিজী  ﷺ বললেন, তুমি তাকে তালাক দাও,সে বলল আমি তাকে ভালবাসি। নবিজী ﷺ আবার বললেন তাহলে তুমি তাকে রেখে দাও।  এই হাদিসের ব্যাপারে ইমাম নাসাঈ  رضي الله عنه বলেন, এ হাদিসের কোন ভিত্তি নেই। তার জবাবে ইমাম জওজী বলেন, এই সনদটিরই এ অবস্থা কিন্তু এ হাদিসটির আরও অনেক সনদ রয়েছে। তাই এ রকম অনেক উদাহারন আমার এ কিতাবে বিভিন্ন হাদিসের আলােচনায় তা পাবেন যে একটি সনদ জাল বলে এ বিষয়টিই হাদিস জাল তা বলা ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।
Top